সিবিএন ডেস্ক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের প্রচারণায় বিতরণের জন্য আনা প্রায় ৪০০ প্যাকেট খাবার ফেরত পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’-এর প্যানেল পরিচিতি সভায়।
মন্নুজান হল ও খালেদা জিয়া হলে আয়োজিত ওই সভায় শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার আনা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা হলে প্রবেশের আগেই বাধা দেন এবং খাবারগুলো ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্রশিবির নির্বাচন কমিশন ও হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলে। সংগঠনটির প্রার্থী ও নেতারা রাত সাড়ে ৮টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেন।
শিবির-সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বাবু সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখনও পর্যন্ত কোনো আচরণবিধি ভঙ্গ করিনি। অথচ অন্য প্যানেলগুলো নিয়ম ভেঙেও কোনো বাধার মুখে পড়েনি। আমাদের হলে চেয়ার প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে, অতিথিদের জন্য আনা খাবার বিতরণেও নিষেধ করা হয়েছে। এভাবে পক্ষপাতমূলক আচরণ চলতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা সব হল পরিদর্শনে বেরিয়েছিলাম। খালেদা জিয়া হলের গেটে দেখি কিছু খাবার প্যাকেট আনা হয়েছে। তখনই জানাই—এভাবে খাবার বিতরণ করা যাবে না। কারণ এতে প্রার্থীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয়। সবাই যেন সমান সুযোগ পায়, সেটিই আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আমরা নিয়মিতভাবে পরিদর্শন করছি এবং কোনো প্রার্থী নিয়মবহির্ভূতভাবে উপহার বা খাবার বিতরণ করছে কি না, তা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
রাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন-সমর্থিত প্যানেল প্রচারণায় রয়েছে। এর আগে ছাত্রদল-মনোনীত প্যানেল নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছিল যে শিবিরের প্যানেল আচরণবিধি ভঙ্গ করে খাবার বিতরণের পরিকল্পনা করছে।
সোমবারের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ এবং শিবিরের প্রতিক্রিয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে একে “নির্বাচনী শৃঙ্খলা বজায় রাখার উদ্যোগ” হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন, “এটি শিবিরের প্রতি প্রশাসনিক পক্ষপাতের নতুন দৃষ্টান্ত।”
